চীন প্রতিনিধি: চীনের ইউনান প্রদেশে চেনগং শহরে অবস্থিত ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্র মোঃ ময়নুদ্দিন ওরফে মাইন (২২) মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধায় নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় করে মোটরসাইকেলে ছাত্রাবাসে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে।
মাইনের গ্রামের বাড়ী যশোহর জেলার চৈাগাছা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামে। আব্দুল মালেক ও নাসিমা বেগমের একমাত্র ছেলে মাইন। চার ভাই বোনের মধ্যে সে সবার ছোট।
কলেজে অধ্যয়নরত মাইনের বন্ধুদের মাধ্যমে জানা যায়, মাইন দুই বছর ধরে চীনের ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়ে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ২য় বর্ষে ৪র্থ সেমিস্টারে পড়াশোনা করছিলো। মঙ্গলবার সন্ধাং প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় করে ছাত্রাবাসে ফিরছিল। পথে তাকে বহনকারী মোটর বাইকটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়। তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চেনগং ফাস্ট অ্যাফিলিয়েট হসপিটাল অফ কুনমিং ইউনিভার্সিটিতে নেওয়া হয়। রাত ১১টায় তিনি মৃত্যু বরন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মরদেহ বাংলাদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে তাদের হাতে এখন কোন সুযোগ নেই। কুরোনাভাইরাসের কারনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম অনেকটা দির গতিতে চলছে। তবে দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার পর থেকে হসপিটালের খরচসহ অন্যান্য সার্বিক সহযোগিতায় তারা ছিল। বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিস কুনমিং এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাথে যোগাযোগ করতে পরামর্শ দেন।
বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিস কুনমিং এর সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বাংলাদেশি ছাত্র রাত ১২টার দিকে জানায় একজন শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মৃত্যু বরণ করেছে। তারপর আমরা কনস্যুলেট অফিস থেকে চেনগং ফাস্ট অ্যাফিলিয়েট হসপিটাল অফ কুনমিং ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে রাত ১:৩০ মিনিটে পৌছায়। হাসপাতালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট, ডির্পাটমেন্টের ডিন এবং কোর্স কো-অর্ডিনেটর এর সাথে কথা হয়। তাছাড়া হাসপাতালের পরিচালকের সাথেও কথা হয়। আজ সকালে পরিবারে সাথে আমাদের কথা হয়েছে। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবের কারনে সকল এয়ারলাইন্স বন্ধ আছে। তাছাড়া একমাত্র থাই এয়ারওয়েজ লাশ বহন করে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে লাশ পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।
বর্তমানে লাশ চেনগং ফাস্ট অ্যাফিলিয়েট হসপিটাল অফ কুনমিং ইউনিভার্সিটির মর্গে রাখা হয়েছে।